ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নিজের ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক পিতাকে আটক করেছে সালথা থানা পুলিশ। উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ধর্ষিতার পরিবার ও সালথা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও আরও দুটি বিয়ে করে অভিযুক্ত পিতা। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে দুটি কন্যা সস্তান জন্ম নেয়। অভিযুক্ত পিতা স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
অভিযুক্ত বিভিন্ন সময়ে বড় মেয়েকে যৌন হয়রানী করলে দুই মেয়ে নানা বাড়িতে চলে যায়, নানা বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর দুই মেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে, সেখানে অভিযুক্ত পিতা দুই মেয়ের ভরণপোষন দেয় না খোঁজ খবরও নেয় না। উপায় না পেয়ে বড় মেয়ে (১৯) ঢাকায় গার্মেন্টন্সে চাকরি করে ছোট (১৬) বোনের খরচ চালায়। বাড়িতে ছোট বোন একাই থাকে।
গত ৩০ জুলাই, ২১ তারিখ রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত পিতা ছোট মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে চায়ের সাথে মেডিসিন মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে ছোট মেয়েকে পুনরায় একাধিকবার ধর্ষণ করে। লোকলজ্জায় ঘৃনায় ছোট মেয়েটি বিষপান করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পিতা। পরবর্তীতে বড় বোন ও মায়ের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে নানা বাড়িতে যায় ধর্ষিতা মেয়েটি এবং সব ঘটনা বড়বোন ও মায়ের কাছে খুলে বলে।
লোকলজ্জার ভয়ে চুপ থাকলেও অভিযুক্ত পিতা পালিয়ে থেকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখালে মেয়েটির মা বাদি হয়ে সালথা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সুত্র ধরেই সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামানের দিক নির্দেশনায় এসআই মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে এসআই তাজুল ইসলাম ও এএসআই মিলনসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযুক্ত পিতা কে নিজ এলাকা থেকে আটক করে।
এই বিষয়ে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পিতাকে আটক করে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।