কুমিল্লার মুুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের গাংগেরকুট এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারটি বাড়িঘর ও তিনটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাটসহ দশজনকে পিটিয়ে জখম করে সদ্য নির্বাচিত মেম্বার মাহবুব ও তার লোকজন। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে সাবেক মেম্বার ফাতু মিয়া ও এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ষষ্ঠধাপে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করেন ফাতু মিয়া ও মাহবুব। নির্বাচনে মাহবুব জয়লাভ করেন। মাহাবুব জয়ী হওয়ার পর তাকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে পলাশ, লালন ও নাহিদসহ ১০জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ন কবির কিবরিয়া বলেন, বুধবার সকাল ১১ টায় ফাতু মেম্বার ও তার ছোট ভাইয়ের ডুপ্লেক্স বাড়িতে হামলা চালিয়ে অর্থলুট ও ভাঙচুর করেছেন মাহবুব ও তার সমর্থক জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু নেছারের লোকজন। তারপর তারা ফাতু মেম্বারের সমর্থক আবুল বাশারের বাড়ি ও কালীগঞ্জ বাজারে কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আন্দিকুট ২নং ওযার্ড জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল বাশার (৬৫) বলেন, আমি ফাতু মেম্বারকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মাহবুব ও তার সমর্থিত কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু নেছারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাস আমার ঘরে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে টাকা পয়সা ও স্বর্ণ অলংকার লুটে নেয়। যাওয়ার সময় আমার ঘরে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আমার নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি পদদলিত করে কুপিয়ে নষ্ট করেন। এসময় আমার স্ত্রী তাদের ভয়ে বাথরুমে লুকিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা বাথরুমের দরজা কুপিয়ে তাকে চুল ধরে টেনে বের করে লাঞ্চিত করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মানিক মিয়ার স্ত্রী জুলী আক্তার বলেন, নব্য মেম্বার মাহবুবুর রহমান ও তার একদল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাস প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমার রুমে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ২৫ লাখ টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনার পর পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থ্য গ্রহণ করা হবে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় যেন কোন সংঘাত না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।