বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করছে। এক ব্যক্তিকেই মুক্তিযুদ্ধের সব বানাচ্ছে, যে ব্যক্তি তখন দেশেই ছিলেন না। দেশে ছিলেন জিয়াউর রহমান। এই আওয়ামী লীগ সুচতুরভাবে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে যায়। এখন বলছে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান ? যে সংবিধান তারা নিজেদের ইচ্ছামতো করে কাটাছেড়া করে নিজেদের মতো বানিয়ে নিয়েছে, সেই সংবিধান অনুযায়ী নাকি নির্বাচন হবে। পরিস্কারভাবে বলতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে বলছি, সময় শেষ, যতই ডিগবাজি খান, কোনো লাভ হবে না।
তিনি রবিবার (২৭ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।সমাবেশ পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম।মওলানা রফিকুল্লা হেলালী কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বীর চট্টলা থেকে বীরপুরুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা পার করেছি। এই ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মুছতে পারেনি। কারণ জিয়াউর রহমান আমাদের হৃদয়ে আছেন, এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছেন। মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান, প্রত্যেককে প্রত্যেকের অবদান স্বীকার করতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমান, মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করতে হবে, লাখো শহীদের কথাও স্বীকার করতে হবে যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। স্বীকার করতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা। ১৯৭১ সালের মার্চে তিনি দুই সন্তান নিয়ে এই চট্টগ্রামে ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। তাঁকে রেখে জিয়াউর রহমান ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেরিয়ে যান এবং পরদিন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। আমরা যখন এসব কথা বলি তখন আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে।
এসময় পুলিশকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন আর কার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে তা দেখার বিষয়। তাদের নির্দেশে গুম খুন হয়েছে। এখন জনগণের নিষেধাজ্ঞা আপনাদের ওপর আসবে। এই নিষেধাজ্ঞা লজ্জার। মির্জা ফখরুল বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সরকার হঠাৎ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিল। মার্কিন মন্ত্রী এসে ধমক দিল আর অমনি সরকার ডিগবাজি খেয়ে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়ে দিল। আসলে এদের কোনো চরিত্র নেই। জনগণের প্রতি ভালোবাসা নেই। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে শুধু। আর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে। এদের পরাজিত করতে হবে। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রেখেছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। খুন-গুমের অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা লজ্জার, দেশের জন্য লজ্জার, জাতির জন্য লজ্জার। অথচ আওয়ামী লীগের নির্দেশে খুন-গুমের ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে জনগণের নিষেধাজ্ঞা আসছে। তীব্র গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সব রাজনৈতিক, সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই চট্টগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এই সরকারকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য আজ থেকে নতুন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হল। আসুন, আমরা সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যেতে চেয়েছিলাম মেজর জিয়াউর রহমান যে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ষোষণা করেছিলেন এবং সেই ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেইস্থানে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের সেখানে যেতে দেয়নি। আমরা যদি যেতে পারতাম তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে বলতাম যে, এই বেতারকেন্দ্র থেকেই মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে আমাদের যেতে দেয়নি। তাদের ভয়, কারণ ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল, সেই জনপ্রতিনিধিদেরই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। এদেশের মানুষকে আমরা একথা বললে আওয়ামী লীগ ভয়ে ভীত হয়ে যায়। এই ভয়ে তারা আমাদের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে যেতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। সূচনা করেছিলেন মেজর জিয়া। আজ যখন ইতিহাসের সত্য বলতে যাই, আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ওঠে। কারণ যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল, আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, সেখানে একজন মেজর জিয়া সফল হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, রক্ষীবাহিনী তৈরি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। আর সেখানে বিএনপি সফল হয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের জরুরি সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। আওয়ামী লীগ এখন গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। অবৈধ সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে মানুষ আজ হতাশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারে না। কারন তারা নিজেরাই সেই মুনাফা থেকে লুটপাটে ব্যস্ত।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আজ লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন আওয়ামী লীগের কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা করেনি, এটাই তাদের একমাত্র ব্যর্থতা। তারা তখন আত্মসমর্পণ করেছিল। একমাত্র মেজর জিয়াউর রহমান সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ যেখানে পরাজিত, মেজর জিয়া সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। দেশের মানুষ মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিলেন, দেশের ভেতরে থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত, অথচ মেজর জিয়া ও তার সৈনিকরা উপস্থিত।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। সকল বিদেশি গণমাধ্যমে সেদিন শহীদ জিয়ার স্বাধনতার ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের বইতেও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার কথা লেখা আছে। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সেদিন শুনেছিলেন। আজ আমাদের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। কেন দেয়া হল না ? কারণ আওয়ামী লীগ জানে, আমরা সেখানে যেতে পারলে এখানের চেয়ে অনেক বেশি লোক সমাগম হত। কিন্তু আজ ঘোষণা দিচ্ছি, আমরা প্রত্যেক বছর চট্টগ্রামে ২৭ মার্চ পালন করব। আগামী বছর ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে পালন করব।
আমীর খসরু বলেন, আমরা আজ লক্ষ লোক নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করছি। আর তারা ২/৩ শ লোক নিয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে বসে আছে। এই চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া তিন লাখ লোক নিয়ে সমাবেশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা এক লাখ লোকও আনতে পারেননি। লালদিঘীর ময়দানে বিএনপি লাখো মানুষ নিয়ে সমাবেশ করেছিল। আওয়ামী লীগ ২/৩ শ লোক নিয়ে করেছিল। বিএনপির সমাবেশ দেখে তারা এখন লালদিঘীর মাঠই বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধকে বেচাকেনা করে, তাদের কোনো ইতিহাস নেই। তাদের ইতিহাস পালিয়ে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার ইতিহাস। আর বিএনপির অনেক নেতা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন, এই সরকারের পতনের আন্দোলনের সূচনাও হবে এই চট্টগ্রাম থেকে। এই সরকার বাংলাদেশের আত্মাকে বেচে দিয়েছে। বাংলাদেশের আত্মাকে ফেরত আনতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান,মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন,চেয়ারর্পানের উপদেষ্টা আবদুস সালাম,আবুল খায়ের ভূঁইয়া,জয়নাল আবেদীন ফারুক,গোলাম আকবর খোন্দকার,যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুউদ্দীন খোকন,বক্তব্য রাখেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন,সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর,এ এম নাজিম উদ্দীন,জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোলতান সালাউদ্দীন টুকু, জালাল উদ্দীন মজুমদার,হারুন অর রশিদ, নুরুল ইসলাম নয়ন,আবু সুফিয়ান, এডভোকেট বদরুল আনোয়ার,সাবেক এমপি শাহাজান চৌধুরী,আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া,ইশতিয়াক আজিজ রোজার, আলাল উদ্দিন আলাল, সাহাবউদ্দীন সাবু,দিপেন তালুকদার,,গোলাম হায়দার,মোসতাক আহম্মদ খান,মামুনুর রশিদ মামুন, জাবেদ রেজা প্রমুখ।
এর আগে রবিবার দুপুর ১ টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর দুই নাম্বার গেইট বিপ্লব উদ্যানে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সংগ্রামী মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খোন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সন্মানিত সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার,আবদুস সালাম,মাহাবুবুর রহমান শামীম,শামা ওবায়েদ,শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি,ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, ডা.শাহাদাত হোসেন,আবুল হাসেম বক্কর,আবু সুফিয়ান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে পুষ্প স্তবক অর্পণ করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।