কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভূমিদস্যুদের কবল ও মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রিপোর্টার্স ইউনিটি পেকুয়ার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক ডা. আফতাব উদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর ছেলে আমির খসরু চৌধুরী রাসেল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,জোট সরকারের আমলে আমার পরিবার মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছে।বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এসে বিএনপি-জামাতের মিথ্যা মামলায় হয়রানি হতে হচ্ছে।আমার বাবা ও চাচা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম এডভোকেট আমজাদ হোসেন এর পিতা ও দাদার ওয়ারিশী সম্পত্তি পেকুয়া মৌজায় আর.এস- ২৩০,বি.এস খতিয়ান নং- ৯১৯ ও ৯১৮ রেকর্ড চূড়ান্ত প্রচার আছে।
তাছাড়া বি.এস-৯১৮ নং খতিয়ানের বি.এস দাগ ৪০৪৬ দাগ হতে আমার স্ত্রী রেজিঃ কবলামূলে খরিদ করে।যার দলিল নং ১২৪২,২৪,৯৯১,৫৩৪ এবং ৭৫২।ইতোমধ্যে ওয়ারিশী ও খরিদসূত্রে প্রাপ্ত জমি আমার পরিবারের ভোগ দখলে রয়েছে।কিন্তু সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে ওসমান গণি গং দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই জমি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ আগস্ট সকালে ওসমান গণির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বেআইনীভাবে আমাদের জমি দখল করতে আসে।এতে আমরা বাধা দিতে চাইলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।আমির খসরু চৌধুরী আরও বলেন,ঘটনার দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে বাহাদুর হেলালী লিটনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুটি ছবি ভেসে বেড়ায়।
ওসমান গণি গং এই ছবিগুলো ওই দিনের ছবি বলে আমাদের বিপক্ষে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায়।যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।ছবিগুলো চার মাস পূর্বের।এ বিষয়ে অনলাইন ও বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিকে সংবাদও প্রচার হয়েছিলো।তাছাড়া লিটনের সাথে আমাদের পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন,একদিকে অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত লিটনের সাথে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা অন্যদিকে ওসমান গণি গং কর্তৃক আমাদের জমি জবর দখল হওয়ার শঙ্কা।এসকল উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য চূড়ান্ত অসম্মানের।তাছাড়া আমার পরিবার প্রতিটি মুহুর্ত আতঙ্কে পার করছে।
এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা কামনা করছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ডা. আফতাব উদ্দিনের ভাই কামাল উদ্দিন,মোছা জঙ্গী সোহরাব,ছেলে আমিরুল রাশেদ চৌধুরী ও ভাতিজা মোঃ জিয়াউল প্রমুখ।