মাদারীপুর জেলার কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে চুরির ঘটনা। রাত পোহালেই শোনা যায় কোথাও না কোথাও প্রায়ই ঘটছে এসব ঘটনার কথা। আতনে‹র মধ্যে কাটছে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন।পুলিশ বলছে চোর চক্রটি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পুয়ালী গ্রামে রাতের আঁধারে এক অসহায় পরিবারের বেচে থাকার শেষ সম্বল দুধের গাভী চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়,ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পুয়ালী গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন বেপারীর ছেলে মোঃ জব্বার বেপারী একটি দূর্ঘটনায় পথিত হয়ে দিন কাটছে বিছানায়। অন্যের হাতের সাহায্যে খাবার খেলেও পেটের ভিতরের ময়লা বের হয় পাইপের মাধ্যমে। জায়গা জমি যাহা কিছু ছিল বিক্রয় করে চিকিৎসা করান পরিবারটি। অবশিষ্ঠ ছিল এই একটি মাত্র দুধের গাভী। আর এই গাভীটির দুধ বিক্রয় করে চলতো পুরো পরিবারের খাবার ও বিছানায় শুয়ে থাকা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া অসাহায় জব্বারের ঔষধ। তাও রাতের আঁধারে গোয়াল ঘরে তালা ভেংগে চুরি হয়।
এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় গত এক মাসে প্রায় ১৫/২০টি চুরি ঘটনা ঘটেছে বলে জানাযায়। চুরি থেকে বাদ পরেনি মসজিদ ও মাদ্রাসা। কখন ঘরের সিধ কেটে,লোহার ক্যাচিগেটের তালা ভেঙ্গে হচ্ছে এ সমস্ত চুরি। অসহায় জব্বারের স্ত্রী বলেন, আমগো মতন দুনিয়ায় গরীব কেউ নাই। গরুডার দুধ বেইচা খাইতাম, ওষুধ কেনতাম। ও আল্লাহ বিচার কর, বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর ও এলাকার সচেতন মহল বলছেন,অনেক সময় চুরি হওয়া মাল পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার হলেও চোরচক্রটিকে সঠিক ভাবে আইনের আওতায় না নেয়ার কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয় ডাসার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, গরু চুরির বিষয়টি শুনেছি,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।