ভোলার মনপুরা উপজেলার আলোচিত জিহাদ হাওলাদার ও পিয়াস হাওলাদার হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
জিহাদ হাওলাদার ও পিয়াস হাওলাদার হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান দীর্ঘ দিন যাবত পলাতক থাকিয়া আজ রবিবার (৬ জানুয়ারী) দুপুর ২ টায় ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোটে হাজির হইয়া জামিন আবেদ করেন। আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে মিজানুর রহমান কে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
মামলা সুত্র থেকে জানা যায়, আসামী মিজানুর রহমান এর সাথে বাদী জিহাদ হাওলাদারদের সাথে পূর্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকার কারনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ১৯ শে ডিসেম্বর বিকাল ৫ টার সময় পিয়াস হাওলাদার রামনেওয়াজ হইতে হোন্ডায় করে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাড়ি ফেরার পথে মনপুরা থানাধীন ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলাগাজির তালুক নামক গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সকল আসামীরা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড। দ্যা লাঠি ইত্যাদি সহ মিজানুর রহমানের নির্দেশে পিয়াস হাওলাদার এর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করিয়া তাঁহার সহিত পূর্ব বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটির।
এক পর্যায়ে পিয়াস হাওলাদারের গায়ে থাকা জ্যাকেটের কলার ধরিয়া জোরপূর্বক মোটরসাইকেল হইতে টানিয়া নামায় মিজানুর রহমান ও তার সংগীরা। মিজানুর রহমান এর হাতে থাকা ধারালো দাঁত দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে পিয়াস হাওলাদার কে কোপ দেন, উক্ত কোপে পিয়াস এর বাম চোখের ভ্রু কেটে গিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
মামলার ২ নম্বর আসামি রুহুল আমিন তার হাতে থাকা রড় দিয়ে পিয়াস হাওলাদার কে বারি দেয়, বারিতে পিয়াস এর বাম হাতের কব্জি ভাঙ্গিয়া যায় ও তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান ও তার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে।
এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন চলে আসলে আসামীরা ঘটনা স্থান ত্যাগ করে চলে যান। এমত অবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর মনপুরা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন হাওলাদার (৬০) পিতা মৃত হারুন অর রশিদ হাওলাদার, শাহাবুদ্দিন (৩৫) পিতা-মৃত আমান উল্লাহ দালাল, গেদু দালাল, খোরশেদ মেম্বার (৬০) পিতা মৃত রুস্তম আলী মাঝি, মোঃ আতিক পিতা কাঞ্চন মাঝি, নাহিদ (২৮) পিতা কাঞ্চন, রিইজ উদ্দিন (৩০) পিতা মোঃ আবুল কালাম।
মোঃ শাজাহান (৪২) পিতা আঃ রব, মোঃ বাহার (৪৮) পিতা মৃত আজাহার আহম্মেদ, মোঃ শরিফ (৩২) পিতা আলগীর, মোঃ কেফায়েত (২৮) পিতা আলাউদ্দিন, মোঃ সাখাওয়াত (৩০) পিতা মোঃ আলাউদ্দীন, ছোটন (৩২) পিতা অলিউল্লাহ, মোঃ জামাল (৩২) পিতাঃ মোঃ কালাম, মোঃ আশিক (২৮)।
মোঃ রিয়াজ (৩২), মোঃ বেচু (৩৪), খোকন (৩০), জসিম (৩০), বাছেদ (৩৮), মুছা (৩৬), গিয়াস উদ্দিন (৪২), হেলাল (৩৮), নাদিম হাওলাদার (৩৪), বাবুল (৪২), এনায়েত (২৮) সহ আরো অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন।