কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সরকারের এসএমই প্রকল্পের সহায়তায়, সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষক মমিনুল হক নিজের সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ করেছেন। বুধবার বিকেলে কৃষক মমিনুল হকের মধু চাষ প্রকল্প পরিদর্শনে যান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক। মমিনুল হক (৬৫) উপজেলার ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে। কৃষক মমিনুল হক মধু চাষ করে একই সাথে সফল মোয়াল ও কৃষক হয়ে দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। তিনি প্রতি ১৫ দিনে ৭-৮ কেজি মধু উৎপাদন করেন।
এভাবে গড়ে প্রতি মাসে ১৫ কেজি এবং বছরে প্রায় ১৮০ (১২×১৫) কেজি মধু উৎপাদন করতে পারেন। দুই বছর আগে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি উৎপাদন করছেন খাঁটি মধু। বছরে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং খাঁটি মধু সরবরাহ করে চাহিদা মেটাচ্ছেন এলাকাবাসীর। সরকার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯জন কৃষককে সরিষা বীজ ও মধু উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করেছে। মমিনুল হক কাদৈর ব্লকের এসএমই কৃষক। তিনি সফল হয়েছেন। তার সফলতায় অভিভূত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার নাসির উদ্দীন সহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলে।
কৃষক মমিনুল হকের মধু চাষ প্রকল্প দেখতে শুভপুর ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামে ছুটে আসেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক। তিনি মাঠের সরিষা ক্ষেতে এবং বাড়িতে গিয়ে মধুর চাষ পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপজেলা ইউএনও এস এম মনজুরুল হক এসময় কৃষক মমিনুল হককে উৎসাহ প্রদান করেন এবং মধু চাষে অন্যান্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যাওয়ার সময় মমিনুল হকের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া মধু একরকম জোর করে টাকা দিয়ে কিনে নেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার নাসির উদ্দীন, উপজেলা উপকৃষি অফিসার রাকিবুল হাসান রাসেল, মাহবুবুল হক, পাশাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আবাদ হোসেন সহ অন্যান্যরা।