ভ্রমণ পিপাসুদের প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের সাগরকন্যা নামে খ্যাত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত পারকি সমুদ্রসৈকতে।করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয়েছে সারাদেশের সকল বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র।
বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে সরকারি ঘোষণার সাথে সাথে দর্শনার্থীরাও আসতে শুরু করেছে পারকি সমুদ্রসৈকতে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,৩০ শে আগস্ট পারকি বিচ এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড়।বিকেলেও পারকি পর্যটকদের বরণ করে নিতে সৈকতের আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো নতুন করে সেজেছে।
সমুদ্রসৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার,শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও দর্শনার্থী ভিড়।সৈকতে ঘুরে বেড়াতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে।মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দূরত্ব,হোটেল-রেস্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই ৩ ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকতে ঘুরে বেড়ানো সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।কেউ মোটরবাইক নিয়ে ছুটছে,কেউ ঘোড়া দৌড়াচ্ছে,কেউ সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছে,কেউ বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছে ফুটবল খেলায়।পারকি বিচজুড়ে মানুষের সমাগম লক্ষ করা যায়।তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল।পর্যটকদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না,মানা হচ্ছিল না সামাজিক দূরত্বও।
জাহেদ হাসান হৃদয় নামের এক দর্শনার্থী বলেন,সৈকতে প্রবেশে শিথিলতায় আবারও ঘুরতে এলাম।সমুদ্রসৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান। বিচে থাকা এক দোকানি জানান,সারা বছর লকডাউনের তাদের তেমন ব্যবসা হয়নি।বৃহস্পতিবার থেকে সব খুলেছে।পর্যটক আসা শুরু করছে।এত দিন অনেক কষ্ট করে দিন কাটিয়েছেন।এবার একটু স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),পারকি বিচ পরিচালানা কমিটির সভাপতি,শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান,পারকি বিচ যেহেতু কর্ণফুলী থানার আওতায়।বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করে।পারকী বিচে টুরিস্ট পুলিশের একটি ক্যাম্প করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সঙ্গে কথা হয়েছে।শিগগিরই এটা হয়ে যাবে।