সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলা। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ প্রবাসে বসবাস করেন। দেশে থাকা তাদের আত্মীয় স্বজন সামাজিকভাবে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে ছুটে যায় ভূয়া সাংবাদিকেরা। তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে করে হয়রানী। নিজেরা প্রাথমিকের গন্ডি না পেরিলেও দাপটের সাথে গলায় নাম সর্বস্থ অনলাইন পোর্টালের কার্ড ঝুলিয়ে প্রতারনা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এক সময়ের জগন্নাথপুর বাজারে বুট-বাদাম বিক্রেতা, হোটেলের বয়, পান ব্যবসায়ী, পত্রিকা হকার ছাড়াও টাইল্স কাজের শ্রমিক এখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, ৩ থেকে ৪হাজার টাকা খরচ করে একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইন টিভি বা পত্রিকার মালিক হয়ে নিজে ভূয়া সাংবাদিক সেজে আরো বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগের নামে ভূয়া সাংবাদিক তৈরী করছে। দেখা যায় যে কোন নির্বাচনে জগন্নাথপুরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নির্বাচন র্পর্যবেক্ষনের জন্য প্রায় শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। তখন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পড়তে হয় বিপাকে। পরে বাধ্য হয়ে নির্বাচনের পর্যবেক্ষন কার্ড ফটোকপি করে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের অনুমতি দেয়া হয়। পরে ভূয়া সাংবাদিকেরা সরকারের দেয়া নির্বাচনের পর্যবেক্ষন কার্ড দিয়ে নিজেদেরকে প্রকৃত সাংবাদিক হিসেবে সমাজে প্রচার করে।
সচেতন মহল মনে করে এসব ভূয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রকৃত সাংবাদিকেরা তাদের পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অবিলম্বে এসব ভূয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। কিছু অপেশাদার অনভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক সাংবাদিক নাম ধারন করে সামান্য টাকার বিনিময়ে কিছু সম্পাদক নামধারী প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা এসব ভূয়া সাংবাদিক তৈরী করছে। যতই দিন যাচ্ছে জগন্নাথপুরে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে। এলাকার চিহিৃত বখাটেরা প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা কাটানোর জন্য কিছু সার্থলোভী নামধারী সম্পাদককে টাকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র কার্ড।
এসব পরিচয়পত্র কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে জীবন জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছে। ভূয়া সাংবাদিকেরা এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিক সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এদেরকে খুঁজে বের করে সাংবাদিক সমাজ থেকে বিতাড়িত না করলে দেশ ও সামাজের উন্নয়ন কাজ বারবার বাধাগ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন সূশীল সমাজ ও প্রকৃত সাংবাদিক মহল।