ভারত গমন যাত্রী চলাচলের উপর শর্ত গুলি শিথিল করায় পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে।কোভিড -১৯ এর কারনে ভারত থেকে ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শুরু হয় ২৬ এপ্রিল ২০২১ থেকে।এর আগেও কোয়ারেন্টাই চালু ছিল গত বছরের জুলাই থেকে।নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা খাওয়ার কারনে ভারত গমন যাত্রী অনেক হৃাস পেয়েছিল।
আবার ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশন থেকে অনুমোদন নিয়ে ফেরার কারনেও যাত্রী হৃাস পায়।তবে মুমুর্ষ রোগীরা সকল শর্ত মেনে ভারত গমন করে।গত ৮ই সেপ্টেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাই উঠে যাওয়ার পর ভারতে যাত্রী গমন বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়া ওপার থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদেরও হাইকমিশনের অনুমোদন এর শর্ত তুলে নেয়।তবে উভয় রাষ্ট্র থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ এর শর্ত বহাল রয়েছে।
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে দেশের সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এরপর শুধু মাত্র চিকিৎসার জন্য যাত্রীরা বিশেষ অনুমোদন নিয়ে যেতে পারবে বলে উভয় দেশের সকরার অনুমোদন দেয়।কিছুদিন পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অনুমোদন নিয়ে মেডিকেল ভিসা এবং বানিজ্যিক ভিসার অনুমোদন দেয়।এরপর যাত্রী চলাচল এত শর্ত নিয়ে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়ে।সেই থেকে যাত্রী হৃাস পায় বর্হিগমন ও আন্তগমনে।
সব মিলে ২০০ শতর মধ্যে যাত্রী চলাচল ছিল।সম্প্রতি শর্ত শিথিল এর কারনে এ পথে প্রতিদিন সব মিলে সহস্রাধিক যাত্রী চলাচল করছে বলে জানা গেছে।বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন,উভয় দেশের শর্ত শিথিল এবং করোনা ভাইরাস এর প্রাভাব রোধ পাওয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ পাসপোর্ট যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে।ট্যুরিষ্ট ভিসা ছাড়লে হয়ত আগের মত দুই দেশ থেকে আসা যাওয়া যাত্রী ১০ হাজারের কাছাকাছি যাবে।এতে সরকারও অনেক রাজস্ব পাবে।
বেনাপোল কাস্টমস সুত্র জানায়,ভারত বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল বিজিনেস,এম্পলয়ার,ষ্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি টিএফ ভিসার যাত্রীও চলাচল করছে।হয়ত খুব তাড়াতাড়ি উভয় রাষ্ট্র ভ্রমন ভিসা চালু করবে।তখন যাত্রী সংখ্যা বেড়ে আগের মত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।