জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও অবসর ব্যাংক কর্মকতার ৬ সদস্যর একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি সরিষাবাড়ী পৌর সভার কলেজ রোডে অবকাশ ভবনে বসবাসকারী এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম তার পরিবার পরিজন অবরুদ্ধ হয়ে গত বৃহস্পতিবার অদ্যবধি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌর সভার কলেজ রোডে অবকাশ ভবনে বসবাসকারী সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম তার স্ত্রী শিক্ষক রোকসানা খন্দকার সহ ৬ সদস্যের পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম এর বাসার সংলগ্ন পার্শ্বে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ভুমি ক্রয় করে তাতে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
খলিলুর রহমান এর ভবন নির্মাণের ফলে তার বাসায় আলো বাতাস, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ভবনের ক্ষতি আশংকা করেন। এরই প্রেক্ষিতে পৌর বিধি বর্হিভুতভাবে গৃহ নির্মাণের অনিয়ম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম এর স্ত্রী শিক্ষক রোকসান আরা খন্দকার সরিষাবাড়ী পৌর সভার মেয়র বরাবর সু-বিচার প্রার্থনা করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে খলিলুর রহমান ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন সহ তার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে বাসায় এসে এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ এলোপাথারী ভাবে কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এ ছাড়া নির্যাতিত ওই পরিবারের সদস্যরা বাসার বাহিরে এলে মারপিট করবে বলে হুমকি দিয়ে লাঠি-শোঠা নিয়ে বাসার সামনে অবস্থান করায় নির্যাতিত পরিবার তাদের বাসা থেকে বের হতে না পেরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন বলে আযাহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন । এ ঘটনায় খলিলুর রহমান ও স্ত্রী ফজিলা বেগমের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ দিকে খলিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানীমুলক দাবী করে বলেন,আমার স্ত্রী ফজিলা বেগম(৪০) কে মারপিট করেছেন। ফজিলা সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও বলেন এ.কে.এম আযাহারুল ইসলাম আমার নির্মনাধীন জমিটি‘র স্থলে ক্লিনিক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। সেটি করতে না পেরে নানা হয়রানীসহ আমাকে জ্বিনের বাদশা আখ্যায়িত করে বিভিন্ন জায়গায় অপ্রচার করছেন এবং ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই। এ ব্যপারে সরিষাবাড়ী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।