1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মীরা
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মীরা

আতাউর রহমান:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ৫১৩ বার পড়েছে

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দিন দিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে সীট সংকট। এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গ্রাহক। লেনদেনের সময়সীমা সীমিত হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর ব্যাংকের ভেতরে গ্রাহক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংকগুলোর কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন গ্রাহক ও ব্যাংককর্মীরা। এ জন্য পরিস্থিতি বিচেনায় সবার স্বার্থে সীমিত নয় স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা উচিত বলে মনে করছেন গ্রাহকরা।

সরেজমিনে গতকাল ৮জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত টাকা তুলতে ব্যাংকে ভিড় করছেন তারা। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক খরচ, বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকে যাচ্ছেন তারা। ব্যাংক গুলোতে লেনদেনের সময় কমিয়ে আনার কারণে সীমিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে গ্রাহকের চাপ বাড়ছে।

সোনালী ব্যাংক ব্রাহ্মণপাড়া শাখায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বিলকিস আক্তার জানান, বেলা ১১টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। করোনার ঝুঁকি নিয়ে ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়েও ব্যাংকের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদকে ঘিরে ব্যাংকে মানুষের পচন্ড ভিড়। কর্মকর্তারা যথাযথ সার্ভিস দিতে পারছে না। কিন্তু আমরা ভোগান্তিতে আছি। টাকা তুলতে এসে দিন পার হচ্ছে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তো রয়েছে।

সোনালী ব্যাংক ব্রাহ্মণপাড়া শাখার প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, চলামান লকডাউনে ব্যাংকিং সেবা সীমিত করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত থাকায় এবং সাপ্তাহে সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪ দিন খোলা রাখায় উল্যেখিত সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের লেনদেন সম্পন্ন করেত ব্যাংকে আসছেন। যার ফলে ব্যাংকে গ্রাহদের ভিড় হচ্ছে। আমরাও সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম চললে গ্রাহক সেবা দিতে এতোটা ঝুঁকি থাকবে না বলে আমি মনে করি।

একই অবস্থা অগ্রণী ব্যাংক ব্রাহ্মণপাড়া শাখারও। সেবা পেতে সময় বেশি লাগছে গ্রাহকের- এমন অভিযোগ স্বীকার করে অগ্রণী ব্যাংক ব্রাহ্মণপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের মাঠ পর্যায়ের গ্রামীণ শাখা গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের অগ্রণী ব্যাংকের শাখা গুলো খোলা থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ের গ্রহকরা টাকা উত্তলনের জন্য উপজেলা শাখায় ভিড় করছেন। গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি থাকায় সেবা দিতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু তারপরও ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিচ্ছি।

শাহজাজাল ইসলামী ব্যাংক ব্রাহ্মণপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক আইয়ুব আলী বলেন, সপ্তাহের ৪ দিন শাখা খোলা থাকছে। সীমিত আকারে শাখার লেনদেন হয়। আমরা গ্রাহকদের ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতীতে সেবা প্রদানের দিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। সামনে ঈদ। তারপরও গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে ব্যাংকে ভিড় করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD