কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় যানজট একটি পরিচিত শব্দ। এখানে মাঝে মাঝে যানজট না থাকলেও দিনের সিংহভাগ সময়ে লেগে থাকে যানজট। এই যানজটের কারণে কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে যাতায়াতকারীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। সময় ও আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সমাজ এবং পরিবেশের ওপরও যানজটে বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লার মিরপুর-কুমিল্লা সড়কের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর বাজার অংশে অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি ব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট যানজটে অতিষ্ঠ দুই জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগ সড়কের যাতায়াতকারীরা। সরু রাস্তা দখল করে রাস্তার দু’পাশে বসেছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। যত্রতত্র সিএনজি ও অটোরিকশাসহ অন্যান্য গাড়ি পার্কিং এবং যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো ও নামানোর কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
এদিকে যানজট নিরসনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু জাহের সিএনজি ও অটোরিকশার জন্য আলাদা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করে দিলেও সিএনজি ও অটোরিকশার চালকরা পূর্বের মতো গাড়ি স্ট্যান্ডে না রেখে রাস্তার পাশে রেখে যাত্রী উঠানো নামানো কাজটি করছেন। এ কারণে প্রতিদিনই ব্যস্ততম এই সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
উপজেলার চান্দলা থেকে সিএনজি করে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া যাত্রী মনির হোসেন বলেন, আমার সাথে রোগী রয়েছে। কুমিল্লা যাচ্ছি ডাক্তার দেখাতে। ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে এসে অনেকক্ষণ যাবত জ্যামে আটকে আছি। তীব্র গরম আর এই জ্যামের কারণে আমাদের রোগী যেন আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অন্য এক যাত্রী বলেন, এই রাস্তার ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে প্রতিদিনই এরকম যানজট থাকে।
অপরদিকে সিএনজি চালক বাদশা মিয়া বলেন, জ্যামের কারণে মাঝে মাঝে উত্তর বাজার থেকে দক্ষিণ বাজার যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়, তখন যাত্রীরা খুব বিরক্তবোধ করেন। এই যানজটের কারণে আমরা ঠিকমতো ভাড়া মারতে পারি না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু অদক্ষ চালক নিয়মনীতি মানছেন না।
সংকুলান এই সড়কের মধ্যে সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি সংরক্ষণ এবং রাস্তার দুই পাশে বসা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলকে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই।