কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের সাদ্দাম হোসেন নামের এক ইউনিভার্সিটির অনার্স পড়ুয়া ছাত্র গলায় লুঙ্গি পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ১১টায়। রাতে বুড়িচং থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করে।
পুলিশ ও স্থানীয় আলী আকবর মাষ্টার জানান জেলার বুড়িচং উপজেলা সদর ইউনিয়ন এর বুড়িচং থানার দক্ষিণ পাশের বাড়ির মৃত এস আই হাজী মোঃ কামাল হোসেন এর চর্তুথ সন্তান মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২২) গত সোমবার রাতে তার রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে নিজের লুঙ্গি গলায় পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মা হত্যা করে। এসময় রাত সাড়ে ১০ টায় সাদ্দাম হোসেন এর মা আমেনা বেগম (৪৮) অন্য কোথাও থেকে ঘরে এসে রুমের দরজা জানালা বন্ধ দেখে তিনি শোরচিৎকার করলে আশেপাশের লোক জন এগিয়ে দরজা খুলে দেখতে পায় সাদ্দাম হোসেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এস আই মোঃ মোস্তফা মামুন সঙ্গীয় ফোর্স সহ রাত সাড়ে ১১ টায় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ উদ্ধার করে পাঠানো হয়। এদিকে মৃত এস আই হাজী মোঃ কামাল হোসেন এর ৪ ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। মৃত্যু সাদ্দাম হোসেন ভাইদের মধ্যে সে ৪ নম্বর। সে ঢাকার উত্তরা আনোয়ারা মডেল ইউনিভার্সিটির হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্থানীয় সূত্র জানায় কোন মেয়ের সঙ্গে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আত্মাহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বুড়িচং থানার এস আই মোঃ মোস্তফা মামুন বলেন আমি পেয়ে রাতে সাদ্দাম হোসেন এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। সে লুঙ্গি ছিড়ে গলায় পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মাহত্যা করে। তার ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে চেক দিয়ে দেখা গেছে প্রেম সংক্রান্ত কোন ঘটনায় আত্মহত্যা করেনি। তবে তার মা লেখা পড়া সংক্রান্ত বিষয়ে গালমন্দ করায় অভিমান করে এঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যপারে সাদ্দাম হোসেন এর মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু এর মামলা দায়ের করা হয়েছে।