কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইন্দ্রবতী এলাকায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ থেকে গলাকাঁটা যুবকের মরদেহ উদ্ধারে ঘটনায় তিন আসামীকে তদন্ত ওসি মকসুদ আলম নেতৃত্বে এসআই বাদল, এএসআই মহসিন, এএসআই আবদুল্লার সহয়তায় গ্রেফতার করে এবং ৫টি ব্যাটারিসহ অটোরিকশা জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার আবদুল আল কাইয়ূমের ছেলে মোঃ রাজু হোসেন (১৭), ছোটরা এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইলিয়াস (১৯) ও রেইসকোর্স এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ ফেরদাউস (১৬)। (৪ আগষ্ট ২০২১) বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে হাজির করলে আসামীরা হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি প্রদান করেন। বুড়িচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাকসুদ আলম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ ও নিহত অটোরিকশা চালক বন্ধু ছিলো। তাঁদের মধ্যে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে মনমালন্য চলে আসছিলো।
সোমবার বিকেলে আসামীরা ১৫০ টাকা ঘন্টা হিসেবে ভাড়া নিয়ে মোঃ সাকিবের অটোরিকশা যোগে ঘুরতে বাহির হয়। রাতে বুড়িচং উপজেলার ইন্দ্রবতী এলাকায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এসে অটো চালক সাকিবের হাত-পা বেধে গলা কেঁটে হত্যা করে অটো রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বুড়িচং থানা পুলিশ ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলাকাট মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল কজী অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত সাকিব কাজী একজন ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা চালক। তারা বাবা বিল্লাল হোসেন কাজী জানান, ৫ বছর ধরে কুমিল্লা ধর্মপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। এখানে বসবাস করেই বাবা এবং ছেলে আটো রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন।নিহতের নিজ বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার দড়িয়াকান্দি গ্রামে।