২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া নৌরুটে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রথম দিনেই দৌলতদিয়া পাটুরিয়া প্রান্তে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।ফেরিঘাটে প্রায় সাত শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও গাড়িচালকরা।বুধবার (১১ ই আগষ্ট) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
এসব যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে।এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে,যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
ফেরি স্বল্পতা,পদ্মায় তীব্র স্রোত,অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।তবে লঞ্চ চালু থাকার কারণে অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছেন।দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি ও ১৮ টি লঞ্চ চলাচল করছে।
মাগুরা থেকে আসা যাত্রী রহমান বলেন,বিধি-নিষেধ শিথিল হয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য ভোর সাড়ে ৪টায় মাগুরা থেকে রওনা দিয়েছি। বর্তমানে ফেরিঘাট এলাকায় যানজটে পড়েছি।শোনা যাচ্ছে আরও ২-৩ ঘণ্টা লেগে যাবে ফেরিতে উঠতে।গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে পড়া ট্রাক চালক মোঃ কাসেম শেখ বলেন,শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ফেরিঘাটে নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সেই রুট দিয়ে পারাপার অনেকটাই অনিশ্চিত।যে কারণে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রাক ও ক্যাভার্ডভ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রুটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি না করলে ভোগান্তি তীব্র হবে।বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন,এ রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন,আগের ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।