আমনের বীজতলার মাঠে স্বপ্ন বুনেছিলেন বাগেরহাটের চাষীরা।কিন্তুু টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় তা পঁচে গলে নিঃশেষ হয়ে গেছে।এখন মাঠের দিক তাকিয়ে শুধুই হাহাকার করে চোখের জল ফেলছেন জেলার শরণখোলা উপজেলার ১০ সহস্রাধিক চাষি।নতুন করে বীজতলা তৈরীর উপায়ও নেই চাষীদের।এলাকার চাহিদা অনুযায়ী ডিলাররা বিএডিসি থেকে যে বীজ ধান উত্তোলন করেছেন তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।ফলে বীজতলা নষ্ট এবং বীজ ধান না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। দিকে,কৃষি বিভাগ থেকে ৫০ভাগ বীজতলা পঁচে নষ্ট হওয়ার কথা জানানো হলেও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ৮০ভাগ বীজতলায়ই নষ্ট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
শরোণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের চাষী মো. জহির খলিফা বলেন”এ বছর আমনের মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আমনের বীজতলা করেছিলাম।তা সবই পঁচে গলে শেষ হয়ে গেছে।এখন নতুন করে বীজধান সংগ্রহ করবো এবং চারা উৎপাদন করবো তার উপায়ও নেই। এলাকার কোন ডিলারের কাছে এখন বীজ ধান মজুদ নেই।এখন আমরা কি করবো? পঁচা চারা হাতে নিয়ে বীজতলাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্দশাগ্রস্থ এই কৃষক ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম উদ্দিন জানান”এ বছর উপজেলায় মোট ১১হাজার ২৯০জন চাষির মাধ্যমে এবার ৯ হাজার ৪৩৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।৭৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিল যা সম্প্রতি অতিবর্ষণের ফলে ৫০ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।ইতিমধ্যে কৃষি অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
যেহেতু, এই মুহূর্তে স্থানীয়ভাবে বীজ ধান সংগ্রহ করা সম্ভব নয় তাই যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত বীজ ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।দ্রুত বীজ ধান পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা করে সরকারিভাবে বীজ বিতরন করা হবে এবং চাষীদের এ সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হবে।