বরিশালের বানারীপাড়ায় সরকারী গাছ বিক্রি করেছে প্রবাসীর ছেলে মোঃ নাইম।বন বিভাগ থেকে ১০ টি গছের মধ্যে ২ টি গাছ জব্দ করা ও বিক্রেতার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, বানারীপাড়ায় পরিবেশের ভারষাম্য রক্ষায় বাংলাবাজার থেকে বাইশারীর তৎকালীন ডাক বাংলো পর্যন্ত সরকারী রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ রোপন করেছিলেন উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান সরদার।
প্রকৃতির নিয়মে শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটিয়ে বড় হতে থাকে তার লাগানো গাছগুলি।রাস্তার দুপাশে লাগানো গাছের সাড়ি শোভা বৃদ্ধি করে পরিবেশের।সময়ের বিবর্তনে জনতার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশন করে গাছ প্রদান করত পরিষদ কর্তৃপক্ষ এমনটা জানায় কচুয়া ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেম্বর আঃ কাদের।
তিনি জানান,ওয়ার্ড সভাপতি ক্বারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মান্নান তাকে (সম্পাদক) ফোন করে বলেন কচুয়া ক্লাব সংলগ্ন রাস্তার পাশে সরকারী গাছ কাটা হচ্ছে কারা কাটছে কেন কাটছেন সে বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন।ঘটনাস্থলে গিয়ে আঃ কাদের গাছ কাটার শ্রমিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় স্থানীয় প্রবাসী শাহ আলম রাড়ীর ছেলে মোঃ নাইম এ গাছ বিক্রি করেছেন রাজু নামের এক ব্যক্তির কাছে।
এদিকে বৈরি আবহাওয়া ও দিনভর বৃষ্টির মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর রাস্তার পাশের প্রায় ১০ টি মেহেগিনি গাছ কাটার সংবাদে স্বরব হয়ে ওঠে এলাকাবাসী।সরকারী গাছ বিক্রির ঘটনা চাউর হলে তারাহুরো করে ঘটনাস্থল থেকে কেটে ফেলা গাছ সরিয়ে নেয় ক্রেতা রাজু।অপরদিকে নাইম ও তার স্বজনরা গাছ কাটার চিহ্ন মুছে দিতে গাছের গোড়া ও শিকর মাটি দিয়ে ঢেঁকে দেয়।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া উপজেলা বন বিভাগ থেকে লোকজন এসে ২টি গাছ জব্দ করে।এবিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বন কর্মকর্তা তাহেরুল ইসলাম জানান,যেকটি গাছ কাটা হয়েছে তার মধ্যে বন বিভাগের ২টি গাছ রয়েছে।গাছ দুইটি তারা জব্দ করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ মান্নানের জিম্মায় রাখেন।
তিনি আরও বলেন,যারা গাছ বিক্রি করেছেন তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।গাছ বিক্রির বিষয়ে এলাকাবাসী জানায় গাছগুলো সরকারী।তারা আরও জানায় সরকারী এ গাছগুলি বিক্রির সাথে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত রয়েছে।অপরদিকে গাছ বিক্রির তথ্য নিতে প্রবাসী শাহ আলমের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে নাইমকে পাওয়া যায়নি তবে নাইমের মা জানায় তারা নিজেদের রোপনকৃত গাছ বিক্রি করেছেন সরকারী গাছ বিক্রি করেননি।