সিলেট এর বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে সিলেট বিভাগে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়, সেই সাথে বজ্রপাত।গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে। এতে কোথাও কোথাও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোন খবর পাওয়া যায়নি হতাহতের। এছাড়া সিলেট জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এখন পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের জমিনে। বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। পানির নিচে তলিয়ে আছে অসংখ আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট। এসব এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে আছেন বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে অনেকে তাদের বাসাবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। সময় যত যাচ্ছে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল সিলেট সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। প্লাবিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বাঁধ ও পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন লোকজন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ঔষধ, জ্বালানি তেলের দোকান পানির নিচে থাকায় এসব উপজেলায় মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। জেলার লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সিলেট নগরীতে অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাহক এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গেল দুইদিন ধরে। সিলেটে বরইকান্দি সাবস্টেশন ও শাহজালাল উপশহরে একটি ফিডার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব স্টেশন পুরো চালু করা সম্ভব নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।