মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁওয়ে ফানাই নদীর ওপর থাকা বেইলি সেতুর ওপরের প্লেট ফের ভেঙে গেছে। এতে করে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের ওপর বেইলি সেতু দিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ সেতুতে ভাঙনের ঘটনাটি ঘটে, পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়।
প্লেট ভাঙার কারণে সেতুর দুপাশে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন সেতুটি সচলের কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেইলি ব্রিজে গত দুই বছরে ১২-১৩বার সেতুর ট্র্যানজাম, পাটাতন ও প্লেট ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় দুই যুগ হবে এই ব্রিজটি নির্মাণের। দীর্ঘদিন ধরে বেইলি ব্রিজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৫ টনের অধিক ভারী যানবাহন সেতুতে না ওঠার জন্য সেতুর দুপাশে সাইনবোর্ড লাগানো হলেও তা উপেক্ষা করে প্রতিদিন ১০-১৫ টনের বেশি মালামাল নিয়ে সেতু পার হচ্ছে যানবাহনগুলো। বেইলি সেতুটি অনেক পুরাতন হওয়া ঘন ঘন ট্র্যানজাম, পাটাতন ও প্লেট ভেঙে যায়।
স্থানীয় রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল বলেন, সেতুটি অনেক পুরনো ও ঝুকিপূর্ণ। বার বার ভারী যানবাহন চলার কারণে এটির ট্র্যানজামসহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যায়। গত বছরের ১৮ মার্চ সেতুটির ট্র্যানজাম ভেঙে দুই দিন এ সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগেও গত কয়েক বছরে ৮-১০বার ট্র্যানজাম ও প্লেট ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ফের সেতুর একটি প্লেট ভেঙে গেছে। এতে টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা, কর্মধা ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নের আংশিক এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সবধরনের যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে লোক পাঠাই। রবিবার রাতে সেতুর প্লেটে ভাঙন দেখা দেয়। সোমবার সকালে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে তা বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ শেষ হয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক।