ফেনীর পরশুরাম উপজেলার সত্যনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লকের পানির মোটরের বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে শর্টসার্কিটে আবদুল কাইয়ুম নামের (৬) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৫জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাইয়ুম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামের মোঃ কাউছারের ছেলে। সে সত্যনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন।
জানা যায় রবিবার সকালে বাবা কাউছারের কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে চিপস কেনার জন্য দোকানে যাচ্ছিল সে, এসময় সত্যনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে রাস্তায় ওয়াশব্লকের সাথে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক তারে হাত লাগালে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান দেব ব্রত স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি পড়ে থাকতে দেখে সাথে সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। লাইনম্যান দেব ব্রত জানান সকাল থেকে ওই গ্রামের বিদ্যুতের কাজ করছিলেন এসময় হঠাৎ দেখেন শিশুটিকে পড়ে থাকতে। তিনি আরো জানান তার ডান হাতে স্কুলের বিদ্যুতের তার ধরা ছিল বাম হাতে একটি ১০টাকার নোট ছিল।
পরে স্থানীয়রা পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দিলে ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্বার করে নিয়ে যায়।পরশুরাম মডেল থানার ওসি মু. খালেদ হোসেন জানান বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে শিশু নিহতের খবর শুনে লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্কুল কতৃপক্ষ এবং কি ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ফাহাদ ভুইয়ার তত্ববধানে ১৫ লাখ টাকা ব্যায় টিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড বার্দার্স ২০২০ সালের জুলাই শেষ কাজ করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন নির্মানকাজে ক্রটি ও বিভিন্ন অনিয়মের পরও একাধিকবার জানানোর পরও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ওই তারে কোন কভার দেয়নি।
পরশুরাম উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ফাহাদ ভুইয়া জানান ওয়াশব্লকে শর্টসার্কিট হওয়ার কথা নয় তবে কিভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।