দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রান্নাঘরের আগুন থেকে বাড়ির দুইটি কক্ষসহ গোয়ালঘর ভস্মিভূত হয়েছে। এসময় গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি উন্নত জাতের গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে আরো দুটি গরু। এ ঘটনায় প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গড়পিংলাই গ্রামের মৃত নসির উদ্দিনের ছেলে কৃষক নজমুল হকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম,
খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক প্রমুখ।প্রতিবেশিরা জানান, হঠাৎ নজমুল হকের বাড়ি থেকে প্রচ- ধোঁয়া বের হওয়াসহ গরুর চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। পরে তারা ছুঁটে গিয়ে দেখেন দুটি কক্ষসহ গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। গ্রামবাসীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
একসময় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে গোয়াল ঘর থেকে উন্নতজাতের তিনটি মৃত গরুসহ দুইটি দগ্ধ গরু উদ্ধার করেন।
কৃষক নজমুল হক বলেন, ঘটনার সময়ে বাড়িতে কেউ ছিল না। ঘরে একটি বাচ্চা ঘুমিয়ে ছিল। আমি গিয়েছিলাম আত্মীয়র বাড়িতে আর বাড়ির অন্যান্য ব্যক্তিরা জমি ও মাঠে গিয়েছিল। গ্রামবাসির খবরে মাঠে থাকা পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন বাড়িতে। খবর পেয়ে আমিও ফিরে আসি।
সম্ভবত রান্না ঘরের আগুন থেকেই এই অগ্নিকা-ের সূত্রপাত। এই অগ্নিকা-ে বাড়ির দুইটি কক্ষসহ গোয়াল ঘর পুড়ে যায় এবং এতে তিনটি উন্নতজাতের গরু মারা যায়। এরমধ্যে দুইটি গাভীন গরু ছিল আর একটি ছোট। আরো দুটো গরু দগ্ধ হয়েছে। অগ্নিকা-ে গরুসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, এটি আমার ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে না। আমি ওই সড়ক দিয়ে বাড়ির পথে যাওয়ার অগ্নিকান্ডের চিত্র দেখে থেমে যাই। পরে দেখি সেখানে তিনটি গরুর মৃত্যুসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে ইউএনওকে খবর দেওয়া হলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা করেছি। ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।