প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলার ৫১টি ইউনিয়ন পানির নিচে রয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে ৫৫ হাজার মানুষ। এখনো জেলার চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ ও উখিয়ার বহু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টি না হলেও এখনো জমে আছে পানি। পানিতে ডুবে আছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কয়েকটি স্থান। এদিকে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষেরা। চলছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট। এদিকে বন্যার্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য ছুটে চলছে প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পানিবন্দি মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি সহায়তা হিসেবে ৩০০মেট্রিক টন চাল, ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উক্ত উপজেলা গুলোকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করছি নতুন করে বৃষ্টি না হলে খুব শীঘ্রই পানি নেমে যাবে। তার আগে পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে যারা লাইনে দাড়িয়ে ত্রাণ নিতে চাননা তারা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে ফোন করলে গোপনীয়তা বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, পানিবন্দি মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে খাবার। পাহাড় ধসে ও বন্যার পানিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য কাজ করা হবে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্য সেবা, রাস্তা-ঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।
ইতোমধ্যে গত তিনদিন কক্সবাজার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর, ঈদগাঁও ও রামুতে সাংসদ সাইমুন সরওয়ার কমল, চকরিয়া এবং পেকুয়ায় সাংসদ জাফর আলমসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা নিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। প্রবল বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ও বানের পানিতে ভেসে এই পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।