যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ইউপি সদস্য আনজার আলী মোল্লা ও তার অপর দু’সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বাদি -বিবাদী উভয় পক্ষ সহ স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গত ৮ জুলাই উপজেলার কামকুল এলাকায় ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। মেয়েকে (ভিকটিম) সামনে বিয়ে সাদি দিতে হবে ও থানা পুলিশকে কিছু টাকা দিতে হবে বলে ছেলের বড় ভাইর কাছ থেকে মেম্বারের জিম্বায় ৫৩০০০ (তিপ্পান্ন) হাজার টাকা গ্রহন করেন তার খালাতো ভাই নাজমুল সরদার।এদিকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে অভয়নগর থানা পুলিশ বিষয়টা অবহিত হন।
এ ঘটনায় দু’দিন পর ১০ জুলাই ওই কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে
অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ বিষয়টা আমলে নিয়ে একই এলাকার মৃত ইরাপ আলীর পুত্র আলী হোসেন (৩৫) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তবে এ ঘটনায় জড়িত বর্নী এলাকার মৃত আলীবক্সের পুত্র জিয়াউর রহমান (২২)এখনো পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামী আলী হোসেনের বড় ভাই মোঃ কবির সরদার জানান, ঘটনা মিটিয়ে দেবার শর্তে মেম্বর আনজার আলীর জিম্মায় , নাজমুল ও সুমন এসে আমার কাছ থেকে ৫৩০০০ হাজার টাকা নেয়। তবে বিষয়টা মিমাংসা করে দেয়নি। ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা জানান, বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমি জানি। তবে আমি বা আমার পরিবার কোন টাকা পাইনি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আনজার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফারাজী নাসির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হয়েছে। আপোষ মিমাংসার জন্য বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে যদি আমার ইউপি সদস্য টাকা নিয়ে থাকেন সেই টাকা যাতে ফেরত পায় সে বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।