সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে মামাতো ভাইয়ের হাতে ফুফাতো ভাই খুন হয়েছে ।বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর উস্তিংগের গাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আব্দুল খালিক (৪০) উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর উস্তিংগের গাও গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,বসতভিটার ২শতাংশ জমি নিয়ে ময়না মিয়া ও তার ছোট শ্যালক আব্দুর নুরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার রাতে নিহত আব্দুল খালিকের বসতঘরে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে বসতবাড়ীর জমিজামা নিয়া আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালে হঠাৎ উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে আব্দুর নুরের পুত্র সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ময়না মিয়ার পুত্র আব্দুল খালিককে কুপিয়ে জখম করে। জুয়েল আহমদ, লায়েক আহমদ, রানা আহমদ আলী হোসেনসহ আরো ৫/৬ জন মিলে নিহত খালিকের ভাই আব্দুল হক এবং শশুর আহমদ মিয়াকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া জখম করে।
আব্দুল খালিকের জখম গুরুতর হওয়ায় বাড়ীর লোকজন তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীম অবস্থায় আব্দুল খালিক (৪০) শুক্রবার ভোররাতে মৃত্যুবরন করেন।তার মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এঘটনায় সুমন মিয়া(২৬)লায়েক আহমদ (২২) রানা আহমদ(২০) আলী হোসেন (২৬)সহ মোট ৫ জনকে পুলিশ আটক করে।
হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত বটি দা উদ্ধার করে। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, দুই শতক জায়গা নিয়ে মামাতো ভাই ও ফুফাতো ভাইদের মধ্যে পারিবারিক সালিশ হয়। এসময় ফুফাতো ভাই সুমন মিয়া বটিদা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল খালিক কে আহত করে এছারা সুমন মিয়ার অন্যান্য ভাইয়েরা আব্দুল খালিকের ভাই ও শশুরকে পিটিয়ে আহত করে।
আহত ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিহতের মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।