দুবাই যাওয়ার ৬ দিন পর সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসী মোঃ এরশাদ হোসেন (২১) নামের এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল পশ্চিমপাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে। (৯ জুন ২০২২) বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের একমাত্র বোন পপি আক্তার। স্থানীয়রা ও নিহতের বোন পপি আক্তার জানান,বিদেশ যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে এরশাদ তার মা মিনুয়ারা বেগম ও বাবা জামাল হোসেনের বুকে জড়িয়ে চোখের জল ফেলে বলেন,তোমরা আমার জন্য আর চিন্তা করিও না।আমি দুবাইতে গিয়ে মাসে মাসে টাকা পাঠাবো আমাদের ঋণ শোধ করিয়ে নিও আমাদের আর অভাব থাকবে না। এ কথা বলে এরশাদ মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নেয়। এরশাদ হোসেন বুড়িচং ফজলুল রহমান মেমোরিয়াল কলেজ অব টেকনোলজি থেকে এইচ এস সি পাস করার পর পরিবারের অভাব অনাটন দেখে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ পুলিশের চাকরির জন্য আবেদন করে এবং চাকরি নিশ্চিয়তায় জন্য অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে ৬ লক্ষ টাকা ঘোষের কথাবার্তা বলে কিন্তু কয়েকমাস পর ১০ লক্ষ টাকা ঘোষ দিতে হবে এমন খবর শুনে পরিবারের মন ভেঙে যায়। এতো টাকা কোথায় থেকে দিবে? মা-বাবা তো পারবে না, কারণ অভারের সংসার।তাই এরশাদ সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিলেন বিদেশ চলে যাবে, দেশে আর ঘোষ দিয়ে চাকরি করবে না।কিস্তিতে টাকা উত্তলন করে দালালের মাধ্যমে গত ৩০ মে ২০২২ইং তারিখে দুবাইতে গেলেন এরশাদ। সেই দেশে যাওয়ার ৬ দিনের মাথায় (৫ জুন ২০২২) রবিবার বিকেলে দুবাই সারজা এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এরশাদ। সেই দেশের স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুবাই আল কাসমিয়া হসপিটালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দালাল নিহতের পরিবারে ফোন দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে রিমন নামের এক প্রবাসী পুনরায় বাড়িতে ফোন দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরশাদের মৃত্যুতে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকা মানুষসহ বন্ধুদের মাঝে শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে। নিহত এরশাদসহ ২ ভাই ও এক বোন রয়েছে।এখন লাশের অপেক্ষা প্রহর গুনছেন পরিবার।