বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াতের ইসলামীর রাজনীতিই হলো মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া। যেমন ইহকালীন তেমনি পরকালীন কল্যাণের কার্যক্রম। এখন আমাদের কর্মসূচি হলো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের খোঁজ নিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই কর্মসূচীর আলোকে জামায়াত নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী নতুন বিপ্লবের বীরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ নীলফামারী জেলায় আমাদের এই কার্যক্রম।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ সেমিস্টারের ছাত্র সৈয়দপুরের ছেলে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কালে তিনি ওইসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে স্থানীয় ড্রিম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোর্টের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ সাজ্জাদের বাবা আলমগীর হোসেনের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন মাওলানা আব্দুল হালিম।
এর আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শফিপুরে আনসার ভিডিপি সদর দপ্তরের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের সোনাকুড়ী গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী শহীদ রেজওয়ানুল ইসলাম নাঈম এবং নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রামে শহীদ রুবেল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাদের কবর জিয়ারত ও ১ লাখ করে টাকা সহায়তা করেন তিনি।
মাওলানা আব্দুল হালিম আরও বলেন, ছাত্র-;জনতার এ আন্দোলনের সফলতা ব্যর্থ করতে আওয়ামীলীগ এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলার জমিনে আর কোন স্বৈরাচারী সরকার যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আন্দোলনের যথার্থ সুফল পেতে হলে শুধু তথাকথিত সরকার পরিবর্তন নয় সামগ্রিক রাষ্ট্রযন্ত্রের নীতিরও পরিবর্তন তথা সংষ্কার করতে হবে।
জামায়াত নেতা বলেন, দেশপ্রেমিক নীতিবান রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাহলে তারা দেশকে একটি সুন্দর সংবিধান উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য আদর্শিক রাষ্ট কাঠামো গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সুখি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাত্মক ভুমিকা রাখতে পারবে।