যশোরের অভয়নগরে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের যোগসাজসে জীবিত পিতাকে মৃত দেখিয়ে দুই ছেলের নাম বাদ রেখে ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ১নং প্রেমবাগ ইউনিয়ন চাপাতলা গ্রামে মৃত হরিচরন শীলের পুত্র দুলাল চন্দ্র শীলকে মৃত দেখিয়ে এবং তার অপর দুই ছেলেকে বাদ দিয়ে ৪ জনকে শরিক করে ইং-০৮ জুলাই ২০২০ তারিখ চেয়ারম্যান ও সচিব এর স্বাক্ষরকৃর্ত এই ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করা হয়। স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে দুলাল চন্দ্র শীল তার দুই ছেলে মিন্টু শীল ও চঞ্চল শীলকে সাথে নিয়ে পাশের দেশ ভারতে গেলে তাদের তিন জনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্যান্য শরিক ছেলে কৃষ্ণ পদ শীল, দেবদাস শীল, মেয়ে কবিতা রানী শীল, দুলালের স্ত্রী অমিয় রানী শীল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজসে এই ওয়ারেশ কায়েম সনদ নিয়ে দুলালের রেখে যাওয়া সম্পদ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে প্রেমবাগ ইউনয়নে গিয়ে সচিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি অফিস কপি দেখান। সেখানেই প্রমান মেলে জালিয়াতির। মৃত ব্যাক্তির মৃত্যুর সনদ গ্রহনপূর্বক ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদানের বিধান থাকলেও এখানে তা মানা হয়নি। ইস্যুকৃত সনদের বিপরীতে ওয়ারিশগণের কোন আবেদনের কাগজ দেখাতে পারে নাই সচিব মোরশেদ আলী ও হিসাব রক্ষক সাজেদুর রহমান (বাবু)।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার খাঁনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে দুলাল চন্দ্র শীলের ছেলে কৃষ্ণ পদ শীল, দেবদাস শীল জানান আমর পিতা ভারতে মারা গেছে তাই আমি তাদের এই সনদ পেতে সাহায্য করেছি। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওয়ারেশ সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে দেওয়া হয়। যদি দুলাল চন্দ্র শীল জীবিত থাকে এবং তার ওয়ারেশগণ ও ইউপি সদস্য তথ্য গোপন রেখে জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়ারেশ কায়েম সনদ নিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাপস্থা গ্রহন করা হবে।