ইটভাটার দিনমজুরের ছেলে গোলাম রাব্বানী (৭) বাঁচতে চায়। জন্মগতভাবে হার্টের ফুটো রোগে আক্রান্ত শিশুটির জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। এজন্য মাত্র ৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র অসহায় পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার জন্য এই সামান্য অর্থই যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই ফুটফুটে শিশুটিকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগীতার জন্য দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে নিরুপায় বাবা।
জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট বসুনিয়াপাড়ার মোখলেস আলী ও রুপালী বেগম দম্পতির ছেলে গোলাম রাব্বানী। জন্মের পরই অসুস্থ হলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবু আহমেদ মূর্তজার কাছে গেলে তিনি জানান শিশুটি হৃদরোগে আক্রান্ত।
তাঁর পরামর্শে হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) ডা. হরিপদ সরকারকে দেখানো হয়। তিনি নানা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হন রাব্বানীর হার্টের ফুটো রয়েছে। তাই দ্রুত অপারেশন করার জন্য বলেন।
কিন্তু অর্থাভাবে তা করতে পারেনি গরীব বাবা-মা। তবে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসায় যতটুকু সম্ভব করার অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী বিগত ৭ বছর যাবত নিয়মিত ওই চিকিৎসকের তত্বাবধানে মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। যা এখন আর কার্যকর হচ্ছেনা। ফলে এই জটিল রোগমুক্ত হতে অপারেশনই একমাত্র উপায় এবং অতিদ্রুতই তা করতে হবে। নয়তো যেকোনো সময় প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এতে যেন চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি। তাদের কত আশা আকাঙ্ক্ষা ভালোবাসার সন্তান দেখতে দেখতে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে অথচ তারা কিছুই করতে পারছেনা। তাই বাধ্য হয়ে শিশুটির বাবা ইটভাটার দিনমজুর মোখলেস আলী দেশের হৃদয়বান বিত্তশালী ব্যক্তি, দাতা সংস্থা, এনজিও, রাজনৈতিক সামাজিক-ধর্মীয় মানবসেবা ও দাতব্য সংগঠন-প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি আর্থিকভাবে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁর আশা সমাজের সকলের সম্মিলিত সহযোগীতায় ৭ লাখ টাকার সংস্থান হলে শিশুটি বেঁচে যাবে। তাঁকে সাহায্য করতে ০১৮৬০০৮৭০৪০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে বা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ২০৫০৭৭৭০২০৭৭৪৪৭৭৫ ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সিহাব ট্রেডার্স, হাজারীহাট ব্রাঞ্চ, সৈয়দপুর, নীলফামারী ঠিকানায় অথবা ০১৮৬৫২৬৩৪১৮ নম্বরের নগদ একাউন্টে অর্থ
পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ছে।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। আমরা ব্যক্তিগত ও পরিষদ থেকে সহযোগীতা করছি। সেইসাথে সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে প্রয়োজনীয় সহজেই সংগ্রহ হয়ে যাবে। এতে পরিবারটি তাদের চোখের ধন একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা করিয়ে নতুন জীবন দিতে পারবে। যা অত্যন্ত মহান মানবিক কাজ হবে।