কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত পাবিরাবিক বিরোধের জের ধরে দুই দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম নাজমা খাতুন ওরফে নাজু (৪০)। সে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের স্ত্রী। ঘটনার পরপরই ঘাতকরা গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুনের সাথে তুহিন (২৬) শাহীন (২৪) এর কথাকাটাকাটি ও বাক বিতন্ডা হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই তুহিন ও শাহীন ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি দিয়ে নাজমা খাতুনের মাথায় উপুর্যপুরি আঘাত করে। এসময় নাজমা খাতুন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপরই ঘাতকরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
হত্যাকান্ডের ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই দেবর তুহিন ও শাহীনের লাঠির আঘাতে ভাবী নাজমা খাতুন ওরফে নাজু নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে। তবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক করা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই ঘাতকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তনি উল্লেখ করেন।