কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা পাড়া বর্তমানে অপরাধ জগতের এক বড় জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। ৯০ পরবর্তী সময়ে বিএনপি জামাত সরকারের আমলে আত্ম প্রাকাশ করা চর অঞ্চলের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সক্রিয় ক্যাডার উজ্জ্বল সরদার বর্তমানে আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি নতুন করে শুরু করেছে চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়াতে তার অপর্কমের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ওই সময়ে তার দ্বারা নির্যাতিত এলাকার সাধারণ জনগণ।

উজ্জ্বল সরদারের ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরিফ উদ্দির রিমন জানান, উজ্জল সরদার বিএনপির ক্যাডার ও লালচাঁদ বাহীনির সেনাপতি ছিলেন। আমি শুনেছি বর্তমানে সে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দেয় । তবে দলে কোন অনু প্রবেশকারীকে আমরা মেনে নেব না।

মরিচা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর ,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৃত সামাদ মাস্টারের ছেলে হাচানুজ্জামান রাজা সরদার, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মরিচা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খালেকুর জামান খালেক ও সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রদিপসহ মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের একাধীক আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাদের কাছে উজ্জ্বল সরদারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, উজ্জ্বল সরদার কোনোদিন আওয়ামীলীগ বা যুবলীগ করেনি। বরং সে ২০০১ সাল পরর্বতী সময়ে বিএনপির ক্যাডার ছিলেন। উজ্জ্বল সরদার ওই সময়ের চর অঞ্চলের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সদস্য ছিলো । তার দ্বারা মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের একাধীক আওয়ামীলীগ পরিবার নির্যাতিত হয়েছে।

তারা আরো বলেন মরিচা ইউনিয়নের ভূরকাপাড়া, হাটখোলা পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে একই গ্রামের আলিম সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদারের অস্ত্রধারী একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে পদ্মা নদীতে বালিবাহী কার্গো সহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। উজ্জ্বল সরদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবী জানিয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীসহ ওই এলাকার সাধারণ জনগণ।

এব্যাপারে উজ্জ্বল সরদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী আছে , তারা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে আমি কখনো লালচাঁদ বাহীনির সদস্য ছিলাম না।