কুমিল্লা-৭ চান্দিনা আসনের উপ-নির্বাচনে বৈধ তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীই তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মধ্যে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হলো আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের।২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতনামা চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রার্থী মনিরুল ইসলাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার মোঃ দুলাল তালুকদারের কাছে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রেজা খোকন।আর দলীয় সিদ্ধান্তে বাহিরে গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর দল থেকে বহিষ্কৃত হন লুৎফর রেজা খোকন।
এ ব্যাপারে ন্যাপ প্রার্থী ও উপজেলা ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মানিক জানান,জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম।বর্তমানে আমার ব্যক্তিগত সমস্যায় স্বইচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার জানান,কুমিল্লা-৭ উপ-নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন।এর মধ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।এর মধ্যে তিনজন দলীয় প্রার্থী এবং অপরজন স্বতন্ত্র।
যাচাই বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তিনজন বৈধ প্রার্থী মাঠে ছিল।ইতিমধ্যে দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করায় একমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।এ সংক্রান্তে আমরা নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠাবো।২০ সেপ্টেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করব।
প্রসঙ্গত,৩০ জুলাই ওই আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সাংসদ সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ এর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।আগামী ৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।