কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদিঘী এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নগরীর নানুয়াদিঘী এলাকায় দূর্গা পূজার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালের দিকে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদিঘী পশ্চিম পাড় এলাকায় পূজা মন্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে হনুমানের কোলে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার চিত্রটি একজন নারীর চোঁখে ধরা পরে।
পরবর্তীতে জাতীয় হেল্প লাইন পুলিশ সেবা ৯৯৯ এ কল করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য উক্ত অভিযোগকারীকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিমকে কলটি ট্রান্সফার করে দেন।পরবর্তীতে অভিযোগকারীর তথ্য মোতাবেক কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিম নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখে পবিত্র কোরআন শরীফটি বুকে জড়িয়ে ধরে থানায় চলে যান।
ঘটনাটি সাধারণ মুসলিম জনতার মাঝে জানা জানি হওয়ার পর কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থান হতে সাধারন জনতা নানুয়া দিঘীর পূজা মন্ডপের কাছে একত্রিত হয়।একত্রিত জনতার মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব -১১ সদস্যদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারণ মুসলিম জনতার মাঝে টিয়ারসেল,রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে।এতে সাধারণ জনতার মাঝে আরো বেশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।আহত হন ১৫ জনেরও বেশি।এদিকে নগরীর নানুয়া দিঘীর উত্তর পাড় দুর্গা পূজা মন্ডপের মূর্তির নিচে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে-নগরীর কান্দিরপাড় রাজশ্ব কালি মন্দিরের সামনে,রাজগঞ্জ, ছাতিপট্টি,কাপোড়াপট্টি,চকবাজার,কাশারিপট্টি,তেলিকোনা,সালাউদ্দিন মোড়,টমছমব্রীজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজার গেইট ভাংচুরসহ পূজা মন্ডপে আক্রমন করার চিত্র দেখা গেছে।
মূল ঘটনাস্থল কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দিঘী এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাব ও জেলা গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন-জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান,জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ,কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সোহান সরকার,জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদসহ এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল আজিমের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান-আমি নিজেই পূজা মন্ডপে গিয়ে আমাদের পবিত্র আল কোরআন শরীফটি উদ্বার করে রক্ষা করি।অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।