কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়েরের সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নাছির মিয়া হত্যা মামলার আসামী সোহাগ(২৫)কে আটক করেছে পুলিশ।সোমবার বিকেলে উপজেলার বাখরনগর থেকে তাকে আটক করা হয়।এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।আটককৃত সোহাগ বাখরনগর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান,রবিবার রাত ১২টার দিকে নগরপাড় বণিক বাড়ীর সামনে বাস চালক জসিমকে গলা ও হাতে কুপানো রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমার গাড়ীতে করে প্রথমে মুরাদনগর হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেলে ভর্তি করি।এরমধ্যেই ফাতেমা ব্রিক্সের সামনে অস্ত্রহাতে এক যুবক গকুলনগর গ্রামের রিক্সাচালক সেন্টু মিয়াকে গলা এবং হাতে কুপিয়ে আহত করার খবর পাই।
তারপর সকাল বেলা কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের বাখরনগর এলাকায় ধনুমিয়া মার্কেটের একটি দোকান ঘরের ভেতরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নাছিরে জবাই করা লাশ পাওয়া যায়।পাশাপাশি ৩টি ঘটনা একই একই সুত্রে হতে পারে এই ভেবে আহত দুজনের সাথে কথা বলে তাদের উপর হামলাকারীর তথ্য নিয়ে এলাকার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সোহাগকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে এবং হামলায় ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করে।আহত দুজন সোহাগকে দেখে তাদের উপর হামলাকারী বলে শনাক্ত করে।মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়েরের সহযোগীতায় হত্যা মামলার একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের বাখরনগর এলাকার ধনুমিয়া মার্কেটের সাটারবিহিন একটি দোকানের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন নাছির মিয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।এঘটনায় নিহতের বাবা দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের আবদুল আউয়াল মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।