কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাজমা বেগম,ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া ও পুত্রবধূ শিল্পী বেগমের উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা করেছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মোঃ খোরশেদ আলম হকি,মোঃ কালু মিয়া এবং আবদুল মালেক ও তার সহযোগীরা।এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় বাদী হয়ে উল্লিখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলায় আহত রক্তাক্ত হওয়া নাজমা বেগম।

নাজমা বেগম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের দেওখাড় গ্রামের হাবিব মিয়ার স্ত্রী এবং মোঃ সোহাগ মিয়ার মা।অপরদিকে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম হকি,কালু মিয়া একই গ্রামের অভিযুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের ছেলে।৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর ইউপির যাত্রাপুর পূর্বপাড়া নুর হোসেন মেম্বরের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,ঘটনার দিন দুপুর ২টায় বাদী নাজমা বেগম,ছেলে মোঃ সোহাগের গাড়িতে করে ছেলে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম সহ কাশিনগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রাপুর পূর্বপাড়া নুর হোসেন মেম্বারের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় পৌঁছলে বিবাদী খোরশেদ আলম হকি,কালু মিয়া,আব্দুল মালেক ও তাদের সহযোগীরা সশস্ত্র হামলা চালায়।এ সময় নাজমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি সহ ধারালো ছেনী দিয়ে কোপ দেয়।

ধারালো ছেনীর কোপ ঠেকাতে গিয়ে নাজমা বেগমের পায়ের তালুতে কোপ লেগে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।নাজমা বেগম,তার ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া ও পুত্রবধূ শিল্পী বেগম হামলায় রক্তাক্ত আহত হয়ে আর্তচিৎকার করলে এলাকাবাসীর তাড়ায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।এসময় সন্ত্রাসীরা শিল্পী বেগমের গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন এবং সোহাগ মিয়ার পকেট থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসী নাজমা বেগম,সোহাগ মিয়া ও শিল্পী বেগমকে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার এসআই উগ্যযাই চাকমা বলেন,আমি অভিযোগটির তদন্ত করছি।বিবাদীরা মাদক ব্যবসায়ী হলে বা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত হলে আমি এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসবো।এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন,এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।