গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,কুমিল্লার পূজা মন্ডপের এই ঘটনার সঙ্গে র সহ দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে।সরকারের পায়ের নিচে এখন মাটি নেই।তাই সরকার ইচ্ছে করেই ফায়দা লুটার জন্য এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে।পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা দিতে না পারার জন্য অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবী করে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেন দেশের প্রবীন এই বুদ্ধিজীবী।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর বারটায় কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দিঘীরপাড়স্থ ঘটনাস্থল ভাংচুরকৃত পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করতে এসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,প্রতীমা বিসর্জনের আগেই প্রতীমাকে বিসর্জন করা চরম দুঃখজনক ঘটনা।দেশের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।ভাটেশ্বরী থেকে চট্রগ্রাম এরপর কুমিল্লা সব জায়গায়ই নিরাপত্তা দিতে পরিপূর্ণ ভাবে সরকার ব্যর্থ।
পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পূজা মন্ডপে উপস্থিত হওয়ার পরেও কীভাবে মন্ডপ ভাংচুর হলো,শহরে হামলার ঘটনা ঘটলো।এর দায় পুলিশকেও নিতে হবে।তিনি আরও বলেন,সরকার বলছে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো আছে।আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো থাকলে পুলিশ দিয়ে কেনো মন্দির পাহারা দিতে হবে।তিনি মন্দিরে হামলার জন্য দেশের সকল মুসলমানদের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
ডা. জাফর উল্লাহ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনসমক্ষে তা প্রকাশ করার দাবী জানিয়ে বলেন,এই ঘটনায় যাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফর উল্লাহ বলেন,সরকার বলছে এই ঘটনায় বিএনপি জামায়াত জড়িত থাকতে পারে।
আরে বিএনপির তো হাটার মত কোন ক্ষমতাই নেই।তাদেরতো কোমড়ে শক্তি নেই।তারা কিভাবে এই ঘটনা ঘটাবে।সরকার দেশের মাদরাসা গুলোকে ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।যখন দেখছে টাকা দিয়েও মাদরাসা গুলো তাদের কথা শুনছে না।তখন কৌশল করে তাদেরকে জেলে পাঠিয়েছে।এখনো অনেক আলেম জেলে রয়েছে,জামিন পাচ্ছে না।