চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।রবিবার(১৫ আগষ্ট)সকাল ১০টার দিকে চকরিয়ার পুকপুকুরিয়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঈসমাইলের স্ত্রী হাজেরা বেগম(৫৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রাম মাষ্টারের ছেলে রতন বিজয় চৌধুরী(৫০), একই এলাকার রতন বিজয়ের স্ত্রী মধুমিতা চৌধুরী এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা সাধনপুরের প্রদীপ রুদ্রের স্ত্রী পূর্ণিমা রুদ্র(৩০),একই এলাকার প্রদীপ রুদ্রের ছেলে স্বার্থক রুদ্র(৪)ও প্রদীপ রুদ্রের মা রানী রুদ্র (৬০)।তবে নিহত এক নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন-চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরের প্রদীপ রুদ্র, তার মেয়ে শ্যামলী রুদ্র ও বাবর আলী।তারা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালের কক্সবাজার থেকে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন।যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি চকরিয়া মহাসড়কের পুকপুকুরিয়া এলাকা পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলে নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়। এসময় আরো তিনজন আহত হয়।আহতরা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আহত প্রদীপ রুদ্র বলেন, আমার মা-স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রোগী দেখতে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে করে বাশঁখালীর কালিপুর যাচ্ছিলাম।আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি চকরিয়ায় পৌছলে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়।এসময় আমার মা, স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তান মারা যায়।আমি আর আমার মেয়ে কোন রকম গাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস চকরিয়া মহাসড়কের পুকপুকুরিয়া এলাকায় পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়।এসময় নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়।এসময় আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন,গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।