ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। তবে পিতা-পুত্রের লাশ দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদরাসা মাঠে বাবা ছেলের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু,ওসমানীনগর উপজেলা সাংবাদীক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি,ওসমানীনগর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওঃ কে এম রায়হান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
জানাজা শেষে খাতুপুর গ্রামে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।এদিকে,আলোচিত বাবা ছেলের মৃত্যুতে গত বুধবার রাতে ওসমানীনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো এ ঘটনার কোন রহস্যের উদঘাটন হয়নি। তবে পুলিশ নিকট আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।উল্লেখ্য গত ১২ জুলাই যুক্তরাজ্য থেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই খাতুপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার এর ছেলে রফিকুল ইসলাম।
এক সপ্তাহ ঢাকায় ছেলের চিকিৎসা শেষে ১৮ জুলাই পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে উপজেলার তাজপুরের রবিদাসস্থ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল ঝলকের মালিকানাধীন বাসায় ভাড়া উঠেন তিনি। ২৫ জুলাই সোমবার রাতের খাবার শেষে পরিবারের ৫জন একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল দশটায় নাস্তার জন্য ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে সকাল সোয়া ১১টায় জাতীয় সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন রফিকুল ইসলামের শ্যালক দেলোয়ার হোসেন।
খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় ৫জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পর সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।