রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ইউপি সদস্য প্রার্থীকে জিতে দেয়ার অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এরপর তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায়,আব্দুল হান্নান ওই ইউপি সদস্য প্রার্থীকে বোঝাচ্ছেন, নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে ও তাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেটি করলেও তাতে নির্বাচিত হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই। বরং তার সাথে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক তাকে জিতিয়ে দিবেন। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি রফিকুলকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
এ ব্যাপারে বালারহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফুটবল মার্কার সদস্য পদ প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, জেতার জন্য দুই দফায় ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে তিনি সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। পুরো অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি। রফিকুলকে প্রধান আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরে তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ এলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।