জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায় আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘেরাও করে আসামী ছিনিয়ে নিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রূপ ধারণ করলে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের তাৎক্ষণিক যমুনা সারকারখানা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- তদন্ত কেন্দ্রেের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ, উপপরিদর্শক সুলতান মাহমুদ, শফিউল আলম, মেহেদি মাসুদ, কনস্টেবল সোলায়মান, আব্দুস সালাম ও খোকনুজ্জামান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দার পাড়া গ্রামের মশিউর রহমান (৫১) এর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ভাঙচুর, মারধর ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। অদ্য সকালবেলা দলবল নিয়ে মশিউর তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাকে গ্রেফতার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক গ্রেফতারের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে আসামী ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়।
তখন পুলিশ সদস্যদের সাথে কয়েক দফা তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের শর্টগান থেকে পাঁচটি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় গ্রামবাসীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ইটপাটকেলের আঘাতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দৈনিক কালজয়ীকে অভিহিত করেন।