“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” – মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২২ মার্চ/২৩ইং ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট এবং ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালী শুভ উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া’র সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রী উনার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন।প্রধানমন্ত্রী সাতটি জেলা এবং ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা নয়টি এবং উপজেলার সংখ্যা ২১১টি। এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।
এ পর্যায়ে সারা দেশে ৩৯,৩৬৫ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার জেলায় ১০০৬ টি, তন্মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৪৮ টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।
উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্বন্দীপ তালুকদার , উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হাজী লিটন আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল,
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জগৎজ্যেতি ধর শুভ্র, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুধু মিয়া, কালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মতলিব, আশীদ্রোন ইউপি চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহর,
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইপা বড়ুয়া, বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।এছাড়া ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের ঘর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝে নেয়। তারা প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধিসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঘর পাবার আনন্দে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে অনূভুতি প্রকাশ করেন।