পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী চাতরী চৌমুহনী বাজারের গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ঢল নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। শনিবার সকাল থেকে থেকে এ হাট মিলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি নামেনিই অনেকে ঘুরে ফিরছে। কেউ কেউ আবার করোনা সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ব্যবহার করছে না।
এই বাজারে রাজত্ব করছে বৃহৎ আকারের ষাঁড়। যার নাম ‘কালাচাঁন’। দাম চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এ ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১২ মণ। বয়স ৫ বছর। লম্বায় সাড়ে ছয় ফুট ও উচ্চতায় ৫ ফুট। বেড়ে ওঠা উপজেলা বৈরাগের গুয়াপঞ্চক গ্রামের আবদুল আলীমের গোয়ল ঘরে। এর আগের বছর এই ষাঁড়টি উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট গুলোতে তোলা হলেও এ বছর তা তোলা হয়েছে চাতরী চৌমুহনী বাজারে।
আবদুল আলীম বলেন, গরুটি আমি ৩ বছর আগে ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম বড় করার জন্য। তখন অনেক ছোট ছিল। এই ৩বছর যত্ন করে বড় করে তুলেছি। এবার বিক্রির পালা। দাম চাওয়া হয়েছে ৫লক্ষ টাকা। কিন্তু ভালোমতোন দাম না উঠায় বিক্রি করা হয়নি। এছাড়া বাজার এখনও জমে ওঠেনি। কাছাকাছি হলে দিয়ে দিব। দেখি কি হয়। ক্রেতাদের চাহিদায় মাঝারি আকারের গরু থাকায়, তেমন বড় গরু চোখে পড়েনি এই হাটে।
গরু বাজারের ইজারাদার মীর আহমেদ জানান, সকাল প্রচুর গরু, মহিষ এবং ছাগল বাজারের আসতেছে প্রায় ১ কিলোমিটারে জায়গা জুড়ে। ভাল বিক্রয় হচ্ছে, আমরা ক্রেতা-বিক্রতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, কিছু ক্রেতা-বিক্রয়তা মুখে মাস্ক নেই কেনো জানতে চাইলে, তিনি বলেন চাতরী চৌমুহনী গরু বাজারটা খোলা মেলা জায়গা হাওয়া কারণে সবার প্রতি নজর দেওয়া যাচ্ছে না।
আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সর্বক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক যে তিনটি হাটকে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত দিয়েছে। ওই হাট গুলোতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর টিম ভাগ করে বুথ বসানো হবে।
এছাড়াও সারা উপজেলায় ভেটেরিনারি চিকিৎসকের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট চালু থাকবে । গরু বাজার পরিদর্শন সময় উপজেলা সহকারী (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, চাতরীর কোরবানীর হাটে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সচেতনতামূলক অভিযানে মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করা হয় এবং যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করে কোরবানির পশুর হাটে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।