1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ, ৩ বছরেও উন্নয়ন হয়নি সড়কের
বাংলাদেশ । শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ।। ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি মৌলভীবাজারে কাঁচাবাজার সহ নিত্য পন্যের দাম অস্থিতীশীল। কোটা বহাল রাখার দাবিতে ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কোটা সমাধানের দাবিতে ফুলবাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভসহ সমাবেশ কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সৈয়দপুর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল সারাদেশে আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ইবি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ঘরবাড়ীর ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন সৈয়দপুরে বৃষ্টির পানিতে বন্দি ভুক্তভোগিদের সড়ক অবরোধ গুলিবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ, ৩ বছরেও উন্নয়ন হয়নি সড়কের

মো. হামিদুর রহমান:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১
  • ৫০৪ বার পড়েছে

একশ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর-শেরপুর বনগাঁও আঞ্চলিক মহাসড়ক পুন:নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে কোটি কোটি টাকার লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজ করার পর তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের নজরে আসার পর থেকে এ আঞ্চলিক মহাড়কটির নির্মাণ কাজ তিন বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তৎকালীন সড়ক ও জনপথের শেরপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং মেসার্স এসইপিএল প্রা: লি:, ওটিবিএল ও মেসার্স তূর্ণা এন্টারপ্রাইজ জয়েন্ট বেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে যোগসাজশ করে কাজের চেয়ে আরো বেশি টাকা উত্তোলন করে চলে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বর্তমান কর্মকর্তারা।

১৯৯১-৯২ সালে আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে কোরিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে জামালপুর-শেরপুর বনগাঁও সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। পরে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় এ সড়কটির পূন:নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। ৩২.৪০ কি:মি: দীর্ঘ এ সড়কটির ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে মেসার্স এসইপিএল প্রা: লি:, ওটিবিএল ও মেসার্স তূর্ণা এন্টারপ্রাইজ জয়েন্ট বেঞ্চার নামে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শুরু থেকেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজশ করে নিম্নমানের কাজ করতে থাকে। আর এটা প্রকাশ হয়ে পড়লেই বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির উন্নয়ন কাজ। এতে দূর্ভোগ বেড়ে যায় শেরপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ও যানবাহন চলাচলের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্বের সড়কটির দুই পার্শে ১মিটার করে ২ মিটার সম্প্রাসরণ কাজে দেড়ফুট বালি ও সাববেস ৮ইঞ্চি সাববেস, ৬ইঞ্চি সাববেস-২ ধরা থাকলেও তা করা হয়নি। অনেক নিম্নমানের ইট বালি ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। পুরনো সড়কের মেগাডম, কার্পেটিং ও বিটুমিনাস সম্পূর্ণ উঠিয়ে ফেলে সেখানে পাথর দিয়ে ৮ইঞ্চি (২০০ মিলি মিটার) ডব্লিওবিএম করে তার উপর আড়াই ইঞ্চি (৬০ মিলি মটিার) কার্পেটিং এবং ১ ইঞ্চি (২৫ মিলি মিটার) বিটুমিনাস দিয়ে ফিনিসিং দেয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বরং পুরনো সড়কের উপরের আড়াই ইঞ্চি (৬০ মিলি মিটার) কার্পেটিং এবং ১ ইঞ্চি (২৫ মিলি মিটার) বিটুমিনাস উঠিয়ে পুরনো পাথর আর কিছু নতুন পাথর দিয়ে সড়কটির প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়। আর বছর না ঘুরতেই নতুন নির্মিত সড়কটি অনেক স্থানেই খানখন্দক হওয়া শুরু করেছে। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় জাতীয় সংসদের হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে সড়কটি তদন্তের সুপারিশ করেন। গত বছর জুলাই মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক তদন্ত টিম এসে তদন্ত করে সড়কটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম পান। ফলে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহাম্মদকে শেরপুর থেকে বদলী করে ফেনি আর উপসহকারী প্রকৌশলী মাজাহারুল ইসলাম আজাদকে মেহেরপুর পাঠান। আর তিনি যাওয়ার আগে ৭০ ভাগ কাজ শেষ না করলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ৯০ কোটি টাকা বিল প্রদান করেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এদিকে তদন্ত করে নিম্নমানের কাজ করায় ঠিকাদারকে দেয়া এ কাজের অর্ডার বাতিল করা হলেও এখন পর্যন্ত কালো তালিকাভূক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অপরদিকে ওই সময়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহাম্মেদের বিরুদ্ধেও কোন বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে পুরস্কার হিসেবে শেরপুরের চেয়ে বড় জেলায় বদলি করা হয়েছে। প্রথমে তাকে ফেনিতে বদলি করলেও বর্তমানে ফরিদপুর আছেন বলে মুঠো ফোনে জানান তিনি। তাই শেরপুরের সচেতন মহল ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এব্যাপারে শেরপুর শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত বলেন, এ সড়কে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। একে বারেই নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। এখানে ঠিকাদারকে হালকা শাস্তি প্রদান করা হলেও তাকে কালো তালিকাভূক্ত করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ কাজের অনিয়মের সাথে জড়িত কমকর্তাদের শাস্তি না দিয়ে বড় জেলায় বদলি করা হয়েছে। তাদেরকেও শাস্তি দিতে হবে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জন উদ্যোগ শেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্নীতি কাকে বলে এ সড়কটি দেখলেই মনে হয়। কাজ চলমান থাকা অবস্থায়ই নির্মাণ করা সড়ক খানখন্দক হয়ে যাচ্ছে। এখানে ৪০ ভাগ কাজ না করেই ৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যারা এ দুর্নীতির সাথে জড়িত ওইসব কর্মকর্তাদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও ভূক্তভোগী জনগণ বলেন, এ সড়কটি নির্মাণ না করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা দ্রুত সড়কটি নির্মাণের দাবী জানাই।

নিম্নমানের কাজ ও বেশী বিল পরিশোধের কথা অশিকার করে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে ফরিদপুর জেলায় কর্মরত), আহসান উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন আমি মনে করি সঠিকভাবেই কাজ করেছি। এদিকে শেরপুরের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মো: শরিফুল ইসলাম জানান, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করেছি। তার বিরুদ্ধে ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD