ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা অফিস পাড়ায় পরিষদের একটি পুকুরে মাছ দেখাকে কেন্দ্র করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।এক জন মাছ দেখতে গেলে অন্য একজন ব্যক্তি বলেন,এটা উপজেলা পরিষদের পুকুর ঠিকই তবে তাদের আন্ডারে এখন নাই।তুমি কুনি জাল দিয়ে মাছ নিয়ে যাইবা হেরা দেখলে সর্বনাশ করবে।লোকটি জাল রেখে চিন্তা করে।অফিস পাড়ার পুকুর হেরা মালিক কি ভাবে।তার মনে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন আর রহস্য।
আমরা জানি পুকুর সরকারি মাছ চাষ করে সরকারি কর্মকর্তারা তবে হেরা মালিক কিভাবে এ পুকুর কি সরকারিভাবে ইজারা হয়েছে।গতকাল উপজেলা মৎস্য অফিসের সামনে যাওয়ার পর জৈনিক ব্যক্তি এমন করে বলতেছে।সরকারি অর্থায়নে পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনে অনেক কাজ হয়েছে।তাই দেখতে যেমন সুন্দর গরম থেকে বাঁচতে পুকুর পাড়ে এসে অনেকেই বসে থাকে,অনেকেই ছোট্ট মাছ ধরতে পুকুর পাড়ে বসে বসি দিয়ে মাছ মারে।
এখন নাকি এক ব্যক্তি মানা করে তোমরা কোন ভাবে পুকুর থেকে মাছ মারবা না।পুকুর হল অফিসপাড়ার মানা করে অন্য মানুষ কিভাবে বুঝতে পারলাম এটার রহস্যকি।এ সময় মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে সৃষ্ট এই রহস্য নিয়ে বলছেন নানান কথা।সকালে উপজেলার পরিষদের পুকুরে সুন্দর রুই কাতল বা অন্যান্য জাতের মাছ বেশ বড় হয়েছে।আবার কিছুদিন আগে মৎস্য অফিস থেকে মাছ ছেড়েছে ঐ পুকুরে।
পাকা ঘাটলা পাড়ে দাঁড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ আরিফুল হক মূদুল ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।হঠাৎ পুকুরের পাশে রইস উদ্দিন বলে জালযে আনবা।এ পুকুরের এখন মালিক কে জান,আগের দিন নাই,মনে করছো মাছ মারলে অফিসাররা দেখলে কিছু বলবে তা আর হচ্ছে না।আমার মনে হয় উপজেলা পরিষদের অফিসাররা কিছুই বলবেনা?
কেন বলবেনা? রহস্য এ ব্যপার।গ্রাম্য ভাষায় বলে,কার গোয়ালঘরে কে ধোঁয়া দিব।পুকুরের মুল রহস্য জানতে উপজেলার অনেক কর্মকর্তার সাথে কথা হয়।আমার কথা বলবেন না,শুনেছি পুকুর নাকি মাছ ছাড়ে জৈনিক ব্যক্তি।আবার দেখি সরকারি ভাবে পোনা মাছ অবমুক্ত করে।আসলে উপজেলা পরিষদের পুকুর কিভাবে আছে সঠিক বলতে পারি না?বলে এ কর্মকর্তা রহস্যময় একটি হাসি দিলেন।
অন্য এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন,ভাই আমরা আছি দুই-এক বছর এখানে চাকরি করতে আসছি পুকুর নিয়ে আমরা কি বলব।আর পরিষদের পুকুর ইজারা দেক বা না দেক আমার কি আসে যায়,তিনি দুঃখে বলেন,শুনেন মাঠিতে বাস করে আকাশের তারা গণনা করে লাভ নাই।যারা এই পুকুরকে যেটা করার সেটা করে ফেলেছে।এখন আর বলে লাভ কি?